ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সুপারীর বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

sopari-1উখিয়া প্রতিনিধি :::
কক্সবাজারে চলতি মৌসুমে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের রবি, বুধ ও বৃহস্পতিবার উখিয়া ও টেকনাফের উপকূলীয় এলাকা সুপারীর হাঁটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পাইকারী ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার সুপারি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সুপারির বেশি ফলন এবং বাড়তি মূল্য পাওয়ায় সুপারি চাষিদের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

জেলার দুটি উপকূলীয় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পন বা ৮০টি সুপারি বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকায়। গত বছরের তুলনায় এ বছরে সুপারির দাম যথেষ্ট ভালো। এ কারণে চুপারি বিক্রেতারা আনন্দিত। পাশাপাশি দাম পেয়ে চপারি উৎপাদনকারীরাও মহাখুশি।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি সপ্তাহের রবি ও বুধবার উখিয়া-টেকনাফের সোনার পাড়া বাজার এবং টেকনাফ সদর ও শামলাপুর থেকে ১০/১৫ মতো সুপারির ট্রাকে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার সুপারি ভর্তি করা হয়। তা দেশের রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রাম সহ বিভাগীয় ও বিভিন্ন জেলা শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উখিয়া-টেকনাফে উৎপাদিত সুপারী দেশের চাহিদা মিঠিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদিআরব, আরব আমিরাত, ওমান সহ ৬/৭ দেশের সুপারী রপ্তানি করে কোটি কোটি টাকা আমদানী করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তাছাড়াও পাশ্ববর্তি রাষ্ট্র ভারতে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেনাপুল বন্দর হয়ে প্রতিনিয়ত সুপারী রপ্তানি হয়ে থাকে।

সূত্র মতে, সব মিলে প্রতি সপ্তাহে উখিয়া ও টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটি টাকারও বেশি সুপারি যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে বেশির ভাগ সুপারির ফলন হয়েছে উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা সোনারপাড়া, নিদানিয়া, ইনানী, মনখালী, চেপটখালী, মাদারবনিয়া, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, সাবরাং ও নোয়াখালী শালখালী সহ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সুপারীর উৎপাদন হওয়ায় চাষিরা খুশিতে আবেগ আপ্লুত।

 

পাঠকের মতামত: